নারীর পছন্দের তালিকার প্রথমেই থাকে শাড়ি আর গহনা।শাড়ির সাথে মানানসই গহনা নারীর সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলে। তা যদি হয় মুক্তার, তবে তো কথাই নেই। কারণ মুক্তার গহনা দেখতে আভিজাত্যের প্রতীক, তেমনি যে কোন পোশাকের সাথেই মানানসই।
যে কোনো গহনা এমনকি ব্যাগ এবং পোশাকেও মুক্তা এনে দিতে পারে আভিজাত্যের ছোঁয়া ও শুভ্রতা। মুক্তার গহনা ব্যবহার করা যায় দেশী কিংবা ওয়েস্টার্ন পেশাকের সাথেও।মুক্তা মানিয়ে যায় সব বয়সের নারীর সাথে।
মুগ্ধতা ছড়াতে মুক্তার তৈরি গহনা বানাচ্ছেন উদ্যোক্তা সানজিদা আলম সম্পা।যদিও ব্যবসাটি তার স্বামীর ছিল, কিন্তু করোনাকালীন সময়ে সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনলাইনে নতুন করে পথচলার শুরু করেন সম্পা, আর তাতেই বাজিমাত করেন তিনি।

বিভিন্ন শঙ্কা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ক্রেতাদের মুক্তার প্রতি ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশ সাড়া পাচ্ছেন উদ্যোক্তা। সম্পার পার্ল আর্টসি (Pearl Artcy) নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেন।
প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে উদ্যোক্তার তৈরি মুক্তার গহনা। সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা তৈরি করছেন সম্পা।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত সম্পা কুমিল্লা থেকেই তার উদ্যোগ শুরু করেন। উদ্যোক্তা বার্তাকে সম্পা জানান, করোনার কারণে সম্পার স্বামীর হোটেল রেডিসনে থাকা মুক্তার দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই অনলাইনে প্রথম দিকে দোকানের গহনা গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।

তারপর আস্তে আস্তে আরও অনেক নতুন কিছু সংযোজন করেন। প্রত্যেক টি গহনা রিয়েল পার্ল এবং স্টোন দিয়ে নিজস্ব ডিজাইনে নিজেই তৈরি করেন সম্পা। উই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ক্রেতাদের অনেক ভাল সাড়া পান৷
তিনি বললেন, একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। তাকে সততার সাথে কাজ করার মনোভাব থাকতে হবে। তাহলেই অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
নিজের মুক্তার গহনার ব্যবসা সম্পর্কে সম্পা বলেন, ব্যবসাটাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। নিজেকে একজন সেরা অনলাইন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই এবং সেই সাথে ইচ্ছা আছে রেডিসন হোটেলের দোকানটা আমরা আবার নিবো।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা
 

 


