মায়ের হাতের চাকমা খাবার সবাই খুব পছন্দ করতো।তাই উদ্যোক্তা পরহিতা চাকমা ভাবলেন এই খাবার নিয়েই তো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা যায়। যদি সবার সামনে নিয়ে আসা যায় এই খাবার তাহলে কেমন হয়?
প্রথম ধাপে কাজ শুরু করলেন একটি ছোট্ট ফেসবুক পেজ দিয়েই। শুরু হলো উদ্যোক্তার ফেইসবুক পেইজ ‘সাবেরেং’ এর যাত্রা। এই গল্পটা শুরু হয় ২০১৭ সালে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেন ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের ৩ মে সাবেরেং এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু।
বাবা কৃষ্ণ কমল চাকমা (মৃত) ও মা দেবলক্ষী চাকমার বড় সন্তান পরহিতা চাকমা। বাবা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ছিলেন। মা সাবেরেং হেড শেফ হিসাবে আছেন। উদ্যোক্তা সহ এখন ৪ জন কর্মী। প্রোডাকশনের কাজ নিজ বাসাতেই হচ্ছে মিরপুর -২ এ। উদ্যোক্তা রাঙ্গামাটির মেয়ে হলেও বড় হয়েছেন ঢাকাতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.বি.এ শেষ করে গ্রামীন ফোন সহ আরও অনেক সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। কিন্তু চাকমা খাবার সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার যে প্রত্যয় সেটা তাকে উদ্যোক্তা হতে বাধ্য করেছে।
মাত্র ৫,০০০ টাকা পুজি নিয়ে সাবেরেং এর যাত্রা। সাবেরেং এর খাবার লিস্টে যে সকল চাকমা খাবার আছে সেগুলো হলো গোদিয়্যে(ভর্তা), হুরবো (সালাদ), ছুমোত মাছ গোরাম (ব্যাম্বুফিস), ছুমোত হুরো গোরাম (ব্যাম্বু চিকেন), হেবাং, পিঠা ইত্যাদি। ঢাকার ভেতরে সর্বত্রই ডেলিভারি চলে। এখন উদ্যোক্তার মাসে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথা জানতে উদ্যোক্তা জানান “এখন পর্যন্ত আমি ক্লাউড কিচেনের মাধ্যমে সার্ভিস দিচ্ছি। সামনে রেস্টুরেন্ট দিতে চাই। পাশাপাশী ক্লাউড কিচেনের সংখ্যাও বাড়াতে চাই।” তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি পরামর্শ হিসেবে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা বলেন, “তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তার পরামর্শ হলো পরিশ্রমী হতে হবে। ব্যর্থতাকে জয় করার মানসিকতা থাকতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল হতে হবে।”
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা।