দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্লাস্টিক খাতের ভূমিকা বেড়েছে। প্রতিবছর দেশে প্লাস্টিকের নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। বাড়ছে এর কর্ম পরিধি, এর ফলে প্লাস্টিক পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। বর্তমানে দেশে সরাসরি রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২তম। বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্লাস্টিক এখন অপরিহার্য পণ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)-এর উদ্যোগে ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট রিসাইকেলিং: ইনভেস্টমেন্ট প্রসপেক্টস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের লক্ষ্য ছিল প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে পরিবেশ সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা।
আলোচনায় প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশে নানা চ্যালেঞ্জের কথা উঠে আসে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে প্লাস্টিক শিল্পের বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকা। পণ্য উৎপাদনের পর প্রতিবছর প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয় প্রায় সোয়া আট লাখ টন। এর মধ্যে মাত্র ৩৬ শতাংশ রিসাইকেল হয়ে নতুন পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হলেও বাকি ৬৪ শতাংশই পরিবেশ দূষণ করে। অথচ সরকারের নীতি সহায়তা পেলে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আরও ১২০ কোটি ডলার বাড়ানো যেতো। পাশাপাশি আমদানি বিকল্প পণ্য তৈরি করে দেশের চাহিদাও পুরণ করা সম্ভব হতো।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব সলিম উল্লাহ জানান, দেশের এই খাতের উন্নয়নে প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই তা অনুমোদন করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ইজাজ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি শামিম আহমেদ।
আফসানা অভি,
উদ্যোক্তা বার্তা