মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২০। বরাবরের মতোই শেরেবাংলা নগরে শুরু হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫তম এ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন।
প্রায় ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছিল এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছিল জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে। সঙ্গে ছিল পদ্মা সেতুর মডেল। ৪৮৩টি স্টলের মধ্যে ছিল ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল।
এতো স্টলের মাঝেও পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এসএমই উদ্যোক্তাদের স্টল গুলো। সংরক্ষিত প্যাভিলিয়নে বিসিক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্যাভিলিয়ন জিতেছে ৩য় পুরস্কার। এছাড়াও সকলের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু ছিল জেডিপিসি প্যাভিলিয়ন।
জেডিপিসি প্যাভিলিয়নে বহুমুখী পাট পণ্যের একচ্ছত্র প্রচার, প্রদর্শনী এবং বিক্রয় কার্যক্রম চলেছে। ক্রেতা দর্শনার্থীদের মাঝে পণ্যের প্রচার এবং বিক্রয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা শতভাগ সফল বলেই মত ব্যক্ত করেছেন। পাট দিয়ে তৈরী প্রায় সকল ধরনের পণ্য ছিল স্টল গুলোতে।
বিসিক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের প্যাভিলিয়নে স্থান পেয়েছিল খাবার থেকে শুরু করে চামড়াজাত পণ্য, পোশাক, মাটির পণ্য, অলংকার, ঐতিহ্যবাহি পণ্যসহ নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্য। প্রতিটি উদ্যোক্তা জানিয়েছেন তাদের সন্তুষ্টির কথা।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের এমন চমৎকার সব পণ্যে ক্রেতা দর্শনার্থীদের মাঝেও ছিল একটা কৌতূহল। দেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকেই তারা এসব স্টল ভ্রমণ এবং পণ্য ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের অনেকই জানান, সরকারের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উদ্যোক্তারা হয়ে উঠবেন আরও বলীয়ান। দেশের টাকা দেশেই থাকবে, প্রয়োজনও মিটবে দেশের পণ্যে।
বাণিজ্য মেলা চলার কথা ছিল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু দোকানী এবং আয়োজকদের সিদ্ধান্তে মেলার সময় বেড়ে আজ ৬ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এ বছর এ মেলায় ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছিল। দেশগুলো হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।
বিপ্লব আহসান