পড়াশোনা শেষে কোথাও চাকরি করেননি উদ্যোক্তা শিরিন সুলতানা। ভেবেছিলেন উদ্যোক্তা হবেন। ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করেন এসএস হ্যান্ডিক্রাফটসের। তখন থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এসএস এগ্রো প্রোডাক্টের যাত্রা কোভিডকালীন সময়ে উই থেকে। যদিও অনেকদিন যাবত চিন্তা ছিলো কৃষি পণ্য নিয়ে কাজ করার।
৫৯৫ টাকার পুতি কিনে ব্যাগ বানিয়ে বিক্রির মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। প্রথমে ব্যাগগুলো বাচ্চার স্কুলে নিয়ে যেতেন। সেখানেই সেগুলো বিক্রি করতেন। লোকে কি ভাববে তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাননি উদ্যোক্তা শিরিন সুলতানা।
হ্যান্ডিক্রাফটস এর সব আইটেম বিশেষ করে মেয়েদের পোশাক সাথে পাহাড়ে কোমর তাঁতে তৈরী বিভিন্ন রকম শাল নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এছাড়া এগ্রোতে তার সিগনেচার আইটেম দেশী কাজুবাদাম। সাথে পাহাড়ের ফ্রেশ ফল ও অন্যান্য কৃষি পণ্য। হ্যান্ডিক্রাফটস-এ তার কর্মী সংখ্যা ৫জন। এগ্রোতে কাজ করছে আরও ১০জন কর্মী।
অনলাইনে হ্যান্ডিক্রাফটের জন্য ‘এসএস হ্যান্ডিক্রাফটস অ্যান্ড ফ্যাশন’ ও এগ্রো প্রোডাক্টের জন্য ‘এসএস এগ্রো প্রোডাক্ট’ নামে দুটি পৃথক পেইজ আছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের বাইরে রপ্তানি না হলেও অনানুষ্ঠানিক ভাবে তার পণ্য যুক্তরাজ্যে গিয়েছে। দেশের ভিতর ৬৪ জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় তার এসএস এগ্রো প্রোডাক্ট-এর সিগনেচার আইটেম দেশি কাজুবাদাম পৌঁছে গেছে এবং নিয়মিত যাচ্ছে। হ্যান্ডিক্রাফট ও এগ্রো মিলিয়ে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকার উপর পণ্য বিক্রি হয়।

নিজের উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে উদ্যোক্তা শিরিন সুলতানা উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘নিজের একটা পরিচয় তৈরী করার জন্য উদ্যোক্তা হয়েছি। অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো কৃষি আর কৃষক নিয়ে কাজ করার এবং পাহাড়ের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়ানোর সেই চিন্তা থেকেই কৃষি পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। ভবিষ্যতে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য একটা ফ্যাক্টরি করার ইচ্ছা আছে’।
ভাই বোনদের মধ্যে সপ্তম উদ্যোক্তা শিরিন সুলতানার গ্রামের বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তারপর ভাইয়ের সাথে ঢাকায় চলে যান। সেখানেই বড় হওয়া। ক্লাস ফোর থেকে ফাইভ পর্যন্ত ঢাকার আরামবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ক্লাস সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত মতিঝিল মডেল স্কুলে, এইসএসসি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পড়াশোনা করেন।
সাইদ হাফিজ ,
উদ্যোক্তা বার্তা