যানবাহনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস নেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে । পুরো শহরে যে সংখ্যক যানবাহনের অপরিকল্পিত এবং অবৈধ পার্কিং হয়ে থাকে, তা শহরে জ্যাম সৃস্ষ্টি করে। পার্কিং সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় তিন তরুণের উদ্যোগ ‘পার্কিং কই’ অ্যাপ্লিকেশন। গাড়ি চালাতে চালাতে পার্কিং স্পেস খুজতে থাকা অর্থাৎ পার্কিং স্পেস সার্চারগণ এই অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে তাদের নিকটস্থ জায়গায় নানান যানবাহনের জন্যে পার্কিং স্পেসের সন্ধান পেয়ে থাকেন।

রাফাত রহমান, আরিফুর রহমান এবং সাব্বির আহমেদ এই তিন তরুণের আবিষ্কার পার্কিং শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘পার্কিং কই’। ২০১৮ সালে তাদের যাত্রা শুরু। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরী জুড়ে এমন অনেক জায়গা আছে যা যানবাহন পার্কিং করার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষগুলোর মূল্যবান সময় যেনো অপচয় না হয়, পার্কিং স্পেস যেনো সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়, এই সুবিধাগুলো দেয়ার উদ্দেশ্যেই পার্কিং কই এর কার্যক্রম শুরু হয় ।

রাফাত রহমান বলেন, “আমরা সকলে গাড়ি হোক বা সাইকেল, যেকোনো যানবাহনের পার্কিং স্পেস নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকি। এই একটা সমস্যার কারণে রাস্তাঘাটে অনেক জ্যামেরও সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই আমরা চিন্তা করি ‘পার্কিং কই’ অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করবার কথা।”
যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি শপিং মল, পাঁচটিরও বেশি কৌশলগত অংশীদারদের সাথে কর্মরত আছে পার্কিং কই।৭০০ জনেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীরা প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি জায়গাগুলো থেকে ব্যবহার করছেন ‘পার্কিং কই’ অ্যাপ্লিকেশন এবং আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তাদের কাজে। ২০১৮ সালে তরুণদের শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী পুরস্কার অর্জন করেছে ‘পার্কিং কই’।

আরিফুর রহমান তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “একজন সফল উদ্যোক্তার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে দৃঢ় মানসিকতা। কোন একটি বিশেষ কাজে যদি দৃঢ় সংকল্প এবং যথাযথ প্রস্তুতি থাকে তবে লক্ষ্যে পৌঁছানো শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার’’। ব্যতিক্রমধর্মী এই পেশায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে বেশ কয়েকবার। কিন্তু হার না মানা মানসিকতা তাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছে, করে তুলেছে সফল, স্বপ্ন এবং চ্যালেঞ্জকে করেছে সত্য ও বিজয়ী।
জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা