অমর একুশেতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানানোর পর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকরা নিজ নিজ দেশ ও সংস্থার পক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধার মিছিলে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামও প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানান।
সহকর্মীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের।
সূর্যোদয়ের পর শুরু হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানে শহীদ মিনার মুখে নগ্নপদে প্রভাতফেরি।

প্রতিবারের মতো এবারও শিল্পীর রঙতুলি আর আল্পনায় সেজেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা মিনার প্রাঙ্গণে আলপনা এঁকে রঙের তুলিতে সাজিয়ে তুলেন। শহীদ মিনারের চারপাশের দেয়ালগুলোতেও রঙের আঁচড়ে বায়ান্ন থেকে একাত্তরের গৌরবগাথা, উত্তাল দিনগুলোর চিত্রকর্ম আর কবি-সাহিত্যিকদের উক্তিতে সাজিয়ে তোলা হয়।
রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। কালো ব্যাজ ধারণ করে আজিমপুর কবরস্থানেও ভাষা শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।
একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন। এদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা