এসএমই ফাউন্ডেশন সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলেছে বর্তমানে ব্যবসায় শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এছাড়াও বাড়ছে। সামাজিকভাবে পিছিয়ে যাওয়া নারীরা ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে শিল্পায়ন ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে গেছেন।
সারাদেশের এক হাজার ৫১০ জন নারী উদ্যোক্তার ওপর এ গবেষণা পরিচালনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালিত ওমেন্স এন্টারপ্রেনার ইন এসএমই বাংলাদেশ পার্সপেক্টিভ ২০১৭ শীর্ষক গবেষণা লব্ধ তথ্য ও পর্যবেক্ষণ অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম।
এসএমই ফাউন্ডেশনের গবেষণা লব্ধ তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে গ্রাজুয়েট পর্যায়ে শিক্ষিত ২০ শতাংশ নারী ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০১৭ সালে তা বেড়ে ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে ৪২ শতাংশ নারীকে পারিবারিকভাবে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে নিরুৎসাহিত করা হতো। ২০১৭ সালে তা ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ নারীকে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার মোকাবিলা করতে হয়েছে।
২০১৭ সালে এটি ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী কর দিতেন, যা ২০১৭ সালে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ব্যবসার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতেন, যা ২০১৭ সালে বেড়ে ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গবেষণা লব্ধ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ৭৭ শতাংশ নারী এখন আর পরিবার থেকে কোনো বাধা পায় না। ৭ শতাংশ নারী এখনো পরিবার থেকে বাধা পায়। ৫ শতাংশ নারী পরিবার থেকে কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা জানিয়েছেন তাদের স্বামী ব্যবসা পছন্দ করেন না। ৪ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা হতে শ্বশুর বাড়ি থেকেও বাধা পান।
এতে আরও বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা ট্রেড লাইসেন্স পেতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়েননি। ৭ শতাংশ নারীকে ট্রেড লাইসেন্স পেতে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। ৩ শতাংশ নারী জানিয়েছেন ট্রেড লাইসেন্স পেতে লম্বা সময় লাগে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাপতি কে এম হাবিব উল্লাহ বলেন, এসএমই এর মূল কাজ হচ্ছে প্রচার। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের মেলায় যেন উদ্যোক্তরা সঠিকভাবে বিক্রি করতে পারে সে লক্ষ্য দেখতে হবে। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের বাজার নিশ্চিতকরণ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা করার মাধ্যমে তাদের বাজার ধরিয়ে দিতে হবে। এই খাতে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নারী। তাদের বাদ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএস’র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ।
হৃদয় সম্রাট