পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম। দীর্ঘদিন গাজীপুরে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইলে চাকরি করেন। বর্তমানে তাজ হসপিটাল মনোহরদী নরসিংদীতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কর্মরত আছেন।
চাকরী জীবনে অনেক অবহেলিত হওয়ার কারণে ২০১৮ সালে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখেন। তারপর একটি সামাজিক পাতার দেখা পান তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় উদ্যোক্তা জীবনের পথ চলা।

মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৪,০০০ টাকা নিয়ে ৩০ টা মুরগি নিয়ে শুরু করেন উদ্যোক্তা জীবন। তারকিছু দিন পর ২৫ টার মত মারা যায় বাকি ৫ টা নিয়ে আবার শুরু করেন সেই থেকে এখন ছোট বড় ৫০০+ মুরগি রয়েছে তার মায়াজ এগ্রো ফার্মে। তিনি এখন বানিজ্যিক ভাবে দেশি মুরগি পালন করেন। মাসে প্রায় ১-২ হাজার বাচ্চা উৎপাদন হয় তার ফার্মে। যার বাজার মুল্য ৮০-৯০ হাজার টাকা। দেশি মুরগী সেই সাথে ব্লাক সোলজার পোকা নিয়ে কাজ করছেন।
ব্লাক সোলজার পোকা হচ্ছে আফ্রিকার একটি পোকা যা পোল্ট্রি শিল্পের জন্য বেশ উপকারি। কারণ এটা উৎপাদন করতে শুধু মাত্র ময়লা আবর্জনা প্রয়োজন যার খরচ নেই বললেই চলে তবে এটা মুরগির জন্য বাজারের রেডি খাবার তুলনায় অনেক ভালো ও খরচ কমে আসে ৫০%।

পরিবারের সবার সহযোগিতায় তিনি ফার্মটি পরিচালনা করেন। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে অবস্হিত মায়াজ এগ্রো ফার্ম। নতুন ও বেকার যুবক ও নারীরা যারা নিজেকে আত্মকর্মী হিসেবে দাঁড় করাতে চায় তারাই মূলত উদ্যোক্তা সাদ্দামের ফার্ম থেকে দেশি মুরগী সংগ্রহ করেন।

তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, “তরুণদেরকে বলতে চাই আপনারা অবসর সময় নষ্ট না করে কোন কিছু নিয়ে লেগে পড়েন,সময় কে সময় দিলে সময় একদিন আমাদেরকে ভালো কিছু উপহার দিবে।”
উদ্যোক্তা সাদ্দাম তার মায়াজ এগ্রো ফার্মকে আরো বড় করতে চান এবং নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা