চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে নারীদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গত ১০ জুন, ‘উইমেন ইন টেক ২০২৩’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইসিটি খাতে প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখতে এবং নারীদের মাঝে এই খাত সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক ২০২৩’ প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে শুরু করেছে। এই প্রতিযোগিতার কৌশলগত সহযোগী ইউনেস্কো।
ডা. দীপু মনি বলেন: শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রগতি হচ্ছে। চাকরির বাজারে আমাদের নারীদের সরব উপস্থিতি আছে এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীরা যুক্ত হচ্ছে। আমাদের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের নতুন উদ্যোগ ‘উইমেন ইন টেক’ এবং এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত এ ধরনের অন্যান্য সব উদ্যোগ প্রশংসনীয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার সিইও প্যান জুনফেং বলেন, আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের নারীদের এদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এবং এ দেশে নতুন প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক অগ্রগতি আনবে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থী কিংবা গত দুই বছরের মধ্যে স্নাতক সম্পূর্ণ করেছেন এমন নারীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নিবন্ধন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে witbd@huawei.com -এ নিজেদের সিভি পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। ছয় মাসব্যাপী এই অনুষ্ঠানের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে পাবেন তিন লাখ টাকা। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবেন যথাক্রমে দুই লাখ ও এক লাখ টাকা। বিজয়ীরা চীনে হুয়াওয়ের সদর দফতরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি ভিসি ও এঞ্জেল ইনভেস্টরদের সাথে দেখা করার ও তাদের ধারণা উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্প শুরুর ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগ লাভের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের অফিসার ইন চার্জ সুজান ভাইজ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার; বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন এবং বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা